বাংলা নববর্ষের আগে আগে বাঙালিয়ানা আমেজের ছোঁয়া এখন সব জায়গায়। সব জায়গাতেই চোখে পড়ছে বৈশাখের নানা সামগ্রী। পয়লা বৈশাখের দিনটিতে নিজের বাড়ি সাজিয়ে তুলতে পারেন দেশি উপকরণের ছোঁয়ায়। নানা রকম মাটির সরা, শখের হাঁড়ি, বিভিন্ন আকারের মাটির কলসি, ছোট খেলনা, ফুলদানি, সানকি ইত্যাদি এখন প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যাচ্ছে। মাটির এসব জিনিসপত্রে নকশা আঁকা হয় বর্ণিল রঙে। কোনো হাঁড়িতে ফুল-কল্কে আঁকা, কোনো সরায় মাছ, হাতির ছবি আঁকা—এমন পণ্য ঘরটাকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারে। পয়লা বৈশাখে খাবার পরিবেশন করা যেতে পারে মাটির থালা-বাটিতে। আবার ঘরের কোণে ঠাঁই পেতে পারে মাটির রঙিন কলসি, ফুলদানি ইত্যাদি। এ ছাড়া মাটির গয়না পাওয়া যাচ্ছে এখন।
যেখানে পাবেন-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের উল্টো দিকে রয়েছে মাটির নানা পণ্যের দোকান। সারা
বছর এ দোকানগুলোতে কেনাকাটা চললেও বৈশাখের আগে আগে কেনাবেচা বেশি হয়ে থাকে। দোকানগুলোতে
মাটির সানকি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। ২৫০ টাকার মধ্যে মাটির পাতিল পাওয়া
যাবে। নকশা আঁকা পাতিলের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত গড়াতে পারে। কলসির দাম পড়বে
১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। রয়েছে বাহারি সরা। পাটের রশিতে ঝোলানো রঙিন সরার দাম ১৮০
থেকে ৩৫০ টাকা।
এ ছাড়া রয়েছে মাটির বাহারি গয়না। এক সেট মাটির কানের দুলের দাম পড়বে ৬০ থেকে ১০০ টাকা।
মাটির হার পাওয়া যাবে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে।
নতুন বছরে সকালে এক কাপ চা পানের জন্য মাটির কাপ থেকে শুরু করে ভিন্ন আদলের সরা, হাঁড়ি,
জগ, বাটি, সানকি রয়েছে আড়ংয়ের আয়োজনে। বাটির দাম পড়বে ৪৩ থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
মাটির সরা, হাঁড়ির দাম পড়বে ৯৬ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। আর জগ ২৫০ থেকে ৪৫০ এবং চায়ের
কাপ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। যাত্রাও তৈরি করেছে নববর্ষের জন্য ভিন্ন ধাঁচের মৃত্তিকাশিল্প।
ঢাকার উত্তরায় বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে মাটির তৈরি জিনিস। ঢাকা কলেজের সামনে,
কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের পাশে ফুটপাতে, মোহাম্মদপুর, বনানীতেও পাওয়া যায় মাটির এসব
জিনিসপত্র।
Comments