এ সময় তেষ্টা পেলেই পান
করছেন বেল না তরমুজের রস। দুটো ফলই সুস্বাদু। দেখে নিন কোনটার কী গুণাগুণ।
বেল
উপকারিতা ঃ
* বেলের শরবত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
* ক্লান্তি দূর করে।
* পাইলস রোগের জন্য বেল অনেক উপকারী।
* বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে।
* নিয়মিত বেল খেলে কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
* বেলে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অঙ্গগুলোর পুষ্টি জোগায়।
* বেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
* বেলের শাঁস পিচ্ছিল ধরনের, যা পাকস্থলীর জন্য উপকার।
* বেল থেকে পাওয়া বেটা ক্যারোটিন রঞ্জক মানবদেহের টিউমার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে।
অপকারিতা ঃ
যাদের থাইরয়েড রয়েছে, তাদের বেল খাওয়া উচিত নয়, এতে ক্ষতি হয়। চিকিৎসকেরা অন্তঃস্বত্বাদেরও
অনেক সময় বেল খেতে নিষেধ করেন।
খাদ্য উপাদান
পানি ৫৪.৯৬-৬১.৫ গ্রাম
আমিষ ১.৮-২.৬২ গ্রাম
ক্যারোটিন ৫৫ মিলিগ্রাম
থায়ামিন ০.১৩ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লেবিন ১.১৯ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন ১.১ মিলিগ্রাম
টারটারিক অ্যাসিড ২.১১ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৫০ মিলিগ্রাম
তরমুজ
উপকারিতা ঃ
* তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
* তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে। গরমের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরে তরমুজ
খাওয়ার ফলে পানিশূন্যতা দূর হয়।
* তরমুজে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, যা চোখ ভালো রাখে।
* তরমুজে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম ফলে তরমুজ খেলে পেট ভরে ঠিকই, কিন্তু ওজন বাড়ে না।
* তরমুজ কার্ডিওভাসকুলার ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
* তরমুজে আছে পটাশিয়াম, যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
অপকারিতা ঃ
অনেক সময় অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়ার ফলে শরীরে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। যাদের কিডনিতে সমস্যা
থাকে, অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়ার ফলে অনেক অভ্যন্তরীণ সমস্যা দেখা দেয়। যাদের তরমুজে অ্যালার্জি
আছে, তাদের এড়িয়ে চলাই ভালো।
খাদ্য উপাদান
পানি ৯২ থেকে ৯৫ গ্রাম
আঁশ ০.২ গ্রাম
আমিষ ০.৫ গ্রাম
ক্যালরি ১৫ থেকে ১৬ মিলিগ্রাম
আয়রন ৭.৯ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ১২ মিলিগ্রাম