সুগারের পেশেন্ট? এই খেতে ভয়, ওই খাবারে বারণ? চোখ বুজে মিষ্টি কুমড়ো খান। হার্টের রোগ থেকে ডায়াবেটিস, মিষ্টি কুমড়ো কাজ করে ম্যাজিকের মতো। হজমের শক্তি বাড়ায়। ত্বক রাখে টানটান। কমিয়ে দেয় বয়স। মিষ্টি কুমড়োয় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A, ভিটামিন C, ভিটামিন E, বি-কমপ্লেক্স। বিটাক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, আলফা হাইড্রক্সাইড, আয়রন, ফ্লেভনয়েড, লিউটিন সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়ো।
১. ভিটামিন A, বিটাক্যারোটিন চোখের জন্য খুব ভাল। রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করে মিষ্টি কুমড়ো।
২. বিটাক্যারোটিন শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডন্ট। শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে। বিভিন্ন দূষণ, স্ট্রেস ও খাবারে যেসব কেমিক্যাল ও ক্ষতিকর উপাদান থাকে, সেগুলোর কারণে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ হতে শুরু করে। শরীরের কোষ নষ্ট হতে শুরু করে। খারাপ কোষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এসব প্রতিরোধ করে মিষ্টি কুমড়ো।
৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করে। কোলেস্টেরল কমায়। ধমনীর দেওয়ালে চর্বির স্তর জমতে বাধা দেয়। ফলে, মিষ্টি কুমড়ো নিয়মিত খেলে হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে।
৪. মিষ্টি কুমড়োর ভিটামিন C সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করে। ভিটামিন A ও C চুল ও ত্বক ভাল রাখে। চুল রাখে উজ্জ্বল, ত্বক রাখে টানটান। বার্ধক্য আটকায় মিষ্টি কুমড়ো।
৫. মিষ্টি কুমড়োয় ফাইবার ও পটাসিয়াম প্রচুর। ফাইবার খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় জল ও নুন বের করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬. কাঁচা কুমড়োর রস অম্বল প্রতিরোধ করে। যে কোনও ভারী খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে একগ্লাস কুমড়োর জুসের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে ৩ বেলা খাওয়া যেতে পারে।
মিষ্টি কুমড়ো শুনে ভয় পাবেন না। এ মিষ্টিতে সুগার বাড়ে না। বরং ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করে।