Skip to main content

এই রোদ এই বৃষ্টি



খনকার আবহাওয়াটাই হচ্ছে যেন রোদ-বৃষ্টির খেলা। হঠাৎ বৃষ্টি হচ্ছে—বেশ ঠান্ডাভাব, আবার হঠাৎ করে রোদ উঠে যাচ্ছে, তাতে গরম লাগছে। তাই এ সময়টায় বাসা থেকে বের হওয়ার আগে প্রস্তুতি নিয়েই বের হতে হবে। ‘সারা দিন যাদের বাইরে থাকতে হয় তাদের এমন পোশাক পরতে হবে, যেটা বৃষ্টিতে ভিজলে সহজে শুকিয়ে যাবে আবার রোদ উঠলে গরমে আরামদায়ক লাগবে’—এ সময়কার প্রস্তুতি নিয়ে বলছিলেন ফ্যাশন হাউস তহু’জ ক্রিয়েশনের ফ্যাশন ডিজাইনার তৌহিদা তহু।
  • আপনার গন্তব্যস্থল কোথায়, সেটা বিবেচনা করে এ সময়টাতে পোশাক নির্বাচন করতে হবে।
  • মেয়েদের জন্য যেসব কাপড় সহজে শুকায় হাফ সিল্ক, জর্জেট, হালকা সিল্ক ধরনের অর্থাৎ কৃত্রিম তন্তুর পোশাক এ সময় ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ এসব কাপড় বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও শুকিয়ে যায় আবার গরমেও মানানসই হয়।
  • তবে এ সময় রাজশাহী সিল্ক ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ, বৃষ্টিতে কাপড় ভিজে গেলে তাতে কাপড়ের বুননের ক্ষতি হতে পারে।
  • সাধারণত একরঙা কাপড় না পরে ছাপা কাপড় পরাটা ভালো। রংচঙে ছাপা কাপড় পরলে যদি বৃষ্টিতে ভিজেও যায়, তবু দেখতে অস্বস্তিকর মনে হয় না।
  • পুরুষেরা গাঢ় রঙের সিনথেটিকের শার্ট পরতে পারেন। হালকা রঙের পোশাক হলে তাতে তিলা পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। আবার কোনো দাগ লাগলে হালকা রঙের পোশাকে সহজে বোঝা যায়।
  • মেয়েরা ফ্ল্যাট স্যান্ডেল পরলেও পায়ের ওপর আবরণী দেওয়া থাকে—এমন ধরনের স্যান্ডেল পরতে পারেন। তাতে কাদা লাগবে না।
  • চামড়ার স্যান্ডেল পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। তাই এ সময় চামড়ার স্যান্ডেল ব্যবহার না করাই ভালো।
  • প্রয়োজনে বড় ব্যাগে করে বাড়তি জুতা, পোশাক নিয়ে বের হতে পারেন।
  • সাধারণত চামড়ার ব্যাগ এ সময় ব্যবহার না করাই ভালো। পানিরোধী ব্যাগ ব্যবহার করা ভালো।
  • অফিসে লকার থাকলে আগে থেকে অতিরিক্ত তোয়ালে, পোশাক ও জুতা ড্রয়ারে আলাদা করে রেখে দিতে পারেন, যেন ভিজে গেলে সহজে পরিবর্তন করতে পারেন।
  • অফিসে যাওয়ার সময় যদি বৃষ্টিতে কাপড় ভিজে যায় অফিসের হ্যাঙ্গারে বা রুমের দরজার পেছনে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রেখে কাপড়টা শুকিয়ে নিতে হবে।
  • এ ছাড়া ব্যাগে সব সময় ওয়েট টিস্যু, চিরুনি, তোয়ালে, রুমাল, হালকা মেকআপ এসব আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় সামগ্রী রাখতে পারেন। একটু ভিজে গেলে যেন রুমাল বা তোয়ালে দিয়ে মাথাটা মুছে ফেলা যায়।
  • বাসায় ফেরার পথে যদি কখনো বৃষ্টিতে ভিজে কাপড় নোংরা হয়ে যায়, তবে অবশ্যই বাসায় পৌঁছে বৃষ্টিভেজা কাপড় পানি দিয়ে ধুয়ে তবেই মেলে দিতে হবে বাতাসে। যেন কোনো ধরনের ছত্রাক না পড়তে পারে।



 বৃষ্টিতে ভিজে কাপড়ে যদি দাগ পড়ে
  • বৃষ্টিতে ভেজা কাপড়ের যত্ন নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ব্যান্ডবক্সের উৎপাদক ব্যবস্থাপক সোহেল আলম।
  • সাধারণত ভেজা অবস্থায় কাপড়ে তিলা বা দাগ পড়ে। তাই ভেজা কাপড় ব্যবহারের পর কখনো দলা করে রাখা যাবে না। বরং যত দ্রুত সম্ভব ভেজা কাপড়টাকে চিপে পানি ঝরিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
  • সাদা কাপড়ে তিলা ওঠানো যায় কিন্তু রঙিন কাপড়ে তিলা ওঠানো কষ্টসাধ্য।
  • যদি কাপড়ে তিলা পড়ে যায়, তাহলে পানিতে কাপড়টা ভিজিয়ে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। তারপর চিপে নিতে হবে। এরপর সাবান কিংবা ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ২০ মিনিটের মতো ভিজিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষে ফেলতে হবে।
  • যদি কাপড়ে কোনো গাঢ় রঙের দাগ লাগে, তাহলে কাপড়টা আগে পানিতে ঘণ্টা খানেক ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তুলে পানি ঝরিয়ে আবার ভিজিয়ে রেখে দেখুন কাপড় থেকে তখনো রং উঠছে কি না। তাহলে আরও কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে তারপর ডিটারজেন্ট দিয়ে আবার কাপড়টা ধুয়ে ফেলতে পারেন।
  • কাদার দাগ লাগলেও কাপড় একটু ভিজিয়ে রেখে ব্রাশ দিয়ে দাগ লাগা অংশটা ঘষে নিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

Popular posts from this blog

মাটির পণ্যের খোঁজে

বাংলা নববর্ষের আগে আগে বাঙালিয়ানা আমেজের ছোঁয়া এখন সব জায়গায়। সব জায়গাতেই চোখে পড়ছে বৈশাখের নানা সামগ্রী। পয়লা বৈশাখের দিনটিতে নিজের বাড়ি সাজিয়ে তুলতে পারেন দেশি উপকরণের ছোঁয়ায়। নানা রকম মাটির সরা, শখের হাঁড়ি, বিভিন্ন আকারের মাটির কলসি, ছোট খেলনা, ফুলদানি, সানকি ইত্যাদি এখন প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যাচ্ছে। মাটির এসব জিনিসপত্রে নকশা আঁকা হয় বর্ণিল রঙে। কোনো হাঁড়িতে ফুল-কল্কে আঁকা, কোনো সরায় মাছ, হাতির ছবি আঁকা—এমন পণ্য ঘরটাকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারে। পয়লা বৈশাখে খাবার পরিবেশন করা যেতে পারে মাটির থালা-বাটিতে। আবার ঘরের কোণে ঠাঁই পেতে পারে মাটির রঙিন কলসি, ফুলদানি ইত্যাদি। এ ছাড়া মাটির গয়না পাওয়া যাচ্ছে এখন। যেখানে পাবেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের উল্টো দিকে রয়েছে মাটির নানা পণ্যের দোকান। সারা বছর এ দোকানগুলোতে কেনাকাটা চললেও বৈশাখের আগে আগে কেনাবেচা বেশি হয়ে থাকে। দোকানগুলোতে মাটির সানকি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। ২৫০ টাকার মধ্যে মাটির পাতিল পাওয়া যাবে। নকশা আঁকা পাতিলের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত গড়াতে পারে। কলসির দাম পড়বে ১৫০ থেকে ৩৫০ ...

বসন্ত উৎসব-২০১৭

বসন্তের সমীরণে ফাল্গুনের প্রথম দিনে পুরো ঢাকা শহর সাজে ফাগুন সাজে। হলুদ, কমলা ও বাসন্তী রঙ্গের ছোঁয়া সবার মধ্যে।  যে যার মতো করে এই দিনে ঘুরতে বের হন। কারও সঙ্গে পরিবার বা বন্ধুবান্ধব।  নগরজুড়েও থাকে নানা আয়োজন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও বসন্তেকে বরণ করা হবে নানা আয়োজনে। বসন্ত উৎসব জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদ দুই দশক ধরে পয়লা ফাল্গুনে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে আসছে।  বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ফুল ও ছবির প্রদর্শনী, পোশাক, সাজসজ্জা ও দেশজ সংস্কৃতির পরিবেশনার মাধ্যমে বসন্তকে স্বাগত জানানো হয়। ভোরের আলো ফুটতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মূখরিত হতে লাগল হাজার প্রাণের স্পন্দনে।  সূর্যি মামার দেখা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দলে দলে মানুষজন জড়ো হতে লাগল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকল অনুষদের বকুলতলায়। সবাই যে একসঙ্গে বসন্তকে বরণ করবে। বাসন্তী রঙ্গের শাড়িতে মেয়েরা আর ছেলেরা পাঞ্জাবিতে।  দেখলেই মন ভালো যায় এমন দৃশ্য। 

স্বচ্ছ জলে সবুজ বনে

ভরা বর্ষায় কোথায় যাওয়া যায়—শুনেই সিলেটের বন্ধু, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেরে আলম আমন্ত্রণ জানালেন সিলেটে যাওয়ার। জানালেন আবহাওয়াও চমৎকার। ২৮ জুলাই রাতে সিলেটের বাসে উঠলাম স্ত্রী আইরিন আসাদকে নিয়ে। সকালে গিয়ে পৌঁছালাম। থাকার ঠিকানা সিলেট সার্কিট হাউসে। জানালা দিয়ে সুরমা নদীতে চোখ রাখতেই দেখি ঝিরঝিরি বৃষ্টি। মনটা কিছুটা দমে গেলেও আশা ছাড়লাম না। কিছুক্ষণ পরে বৃষ্টি থেমে গেলে মেঘলা আকাশ সঙ্গে নিয়েই যাত্রা শুরু করলাম বিছনাকান্দি আর পাংতুমাই ঝরনার দিকে। সঙ্গী হলেন আরাফাত হোসেন। সিলেট শহর থেকে অটোরিকশায় বিছনাকান্দি যাওয়ার রাস্তাটা এতটাই খারাপ যে কিছুক্ষণ পরপর বিরক্তি লাগছিল। দেড় ঘণ্টার পথ পেরোনোর পরে ট্রলার ভাড়া করার সময় দেখলাম, মাথার ওপর সূর্য! আকাশও বেশ ঝকঝকে। পিয়াইন এলাকা থেকে নৌকা যাত্রা শুরু করল পাংতুমাই ঝরনার দিকে। ভরা বর্ষায় চারদিকে থইথই পানি। পাংতুমাই যাওয়ার পথে পথে রাখাল আর গরু-মহিষের পাল দেখা যায়। কোথাও কোথাও রাজহাঁসের পালও। ক্রমেই পাহাড়ের দিকে এগোতে থাকল নৌকা। দূর থেকে দেখতে কালো পাহাড় আস্তে আস্তে সবুজ হতে থাকল। ঘণ্টা খানেকের পথ শেষে দূর থেকে দেখা যেতে থাকল প...

মিষ্টি কুমড়োর যত উপকারিতা

সুগারের পেশেন্ট? এই খেতে ভয়, ওই খাবারে বারণ? চোখ বুজে মিষ্টি কুমড়ো খান। হার্টের রোগ থেকে ডায়াবেটিস, মিষ্টি কুমড়ো কাজ করে ম্যাজিকের মতো। হজমের শক্তি বাড়ায়। ত্বক রাখে টানটান। কমিয়ে দেয় বয়স। মিষ্টি কুমড়োয় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A, ভিটামিন C, ভিটামিন E, বি-কমপ্লেক্স। বিটাক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, আলফা হাইড্রক্সাইড, আয়রন, ফ্লেভনয়েড, লিউটিন সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়ো।  ১. ভিটামিন A, বিটাক্যারোটিন চোখের জন্য খুব ভাল।  রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করে মিষ্টি কুমড়ো। ২. বিটাক্যারোটিন শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডন্ট। শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে।  বিভিন্ন দূষণ, স্ট্রেস ও খাবারে যেসব কেমিক্যাল ও ক্ষতিকর উপাদান থাকে, সেগুলোর কারণে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ হতে শুরু করে। শরীরের কোষ নষ্ট হতে শুরু করে। খারাপ কোষের সংখ্যা বাড়তে থাকে।  এসব প্রতিরোধ করে মিষ্টি কুমড়ো। ৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করে। কোলেস্টেরল কমায়। ধমনীর দেওয়ালে চর্বির স্তর জমতে বাধা দেয়।  ফলে, মিষ্টি কুমড়ো নিয়মিত খেলে হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে। ৪. মিষ্...

বেল নাকি তরমুজ? কোনটি খাবেন?

এ সময় তেষ্টা পেলেই পান করছেন বেল না তরমুজের রস।  দুটো ফলই সুস্বাদু।  দেখে নিন কোনটার কী গুণাগুণ। বেল উপকারিতা  ঃ * বেলের শরবত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। * ক্লান্তি দূর করে। * পাইলস রোগের জন্য বেল অনেক উপকারী। * বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে। * নিয়মিত বেল খেলে কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। * বেলে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অঙ্গগুলোর পুষ্টি জোগায়। * বেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। * বেলের শাঁস পিচ্ছিল ধরনের, যা পাকস্থলীর জন্য উপকার। * বেল থেকে পাওয়া বেটা ক্যারোটিন রঞ্জক মানবদেহের টিউমার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। অপকারিতা  ঃ  যাদের থাইরয়েড রয়েছে, তাদের বেল খাওয়া উচিত নয়, এতে ক্ষতি হয়। চিকিৎসকেরা অন্তঃস্বত্বাদেরও অনেক সময় বেল খেতে নিষেধ করেন। খাদ্য উপাদান পানি ৫৪.৯৬-৬১.৫ গ্রাম আমিষ ১.৮-২.৬২ গ্রাম ক্যারোটিন ৫৫ মিলিগ্রাম থায়ামিন ০.১৩ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেবিন ১.১৯ মিলিগ্রাম নিয়াসিন ১.১ মিলিগ্রাম টারটারিক অ্যাসিড ২.১১ মিলিগ্রাম ফসফরাস ৫০ ...