Skip to main content

দিনটা হাসি দিয়ে শুরু হোক


বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সালমান খানের জন্ম ১৯৭৬ সালের ১১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে। শিক্ষামূলক অনলাইন ভিডিওর উদ্ভাবক হিসেবে সালমান বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। ২০১২ সালের ৮ জুন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) ১৪৬তম সমাবর্তনে তিনি এই বক্তব্য দেন।

জকে এখানে আসতে পেরে আমি অসম্ভব সম্মানিত বোধ করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি যে শুধু আমার জীবনের কয়েকটি শ্রেষ্ঠ বছর কাটিয়েছি, তাই নয়, বলা যেতে পারে, আমার জীবনকে গড়ে দিয়েছে এমআইটি। আজকে খান একাডেমি সৃষ্টির পেছনে এমআইটির অনুপ্রেরণা অনস্বীকার্য। তবে এমআইটির সঙ্গে আমার সম্পর্ক শুধু অনুপ্রেরণার নয়, আরও বেশি কিছু। আমার অনেক কাছের বন্ধুরাই এখানকার প্রাক্তন শিক্ষার্থী। আমার স্ত্রীও তাদেরই একজন। এখন খান একাডেমির যিনি প্রেসিডেন্ট, তিনি ছিলেন আমার ফার্স্ট ইয়ারের রুমমেট। তাঁর স্ত্রীও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সত্যি কথা বলতে কি, আমার এমআইটির বন্ধুদের শতকরা ৯০ ভাগই নিজেদের মধ্যে বিয়ে করেছে। আমি সব সময় বলি, এমআইটি হচ্ছে পৃথিবীর বুকে হ্যারি পটারের জাদুর স্কুল হগওয়ার্টস। এখানে যে উদ্ভাবনাগুলো জন্ম নেয়, তা জাদুর চেয়ে কিছু কম অবাক করা নয়। সারা পৃথিবী থেকে সম্ভাবনাময় তরুণেরা এখানে আসে। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকেই স্বাগতম জানায় এমআইটি। কেউ আসে বিপুল সম্পদশালী পরিবার থেকে, আবার অনেকের জীবনের ইতিহাস চরম দারিদ্র্যের। আমরা বুঝতে পারি এমআইটি হচ্ছে সেই স্থান, যেখানে আমরা নিজেদের সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রম করে এক অন্য উচ্চতায় উঠতে পারব।

The image of Salman Khan-Khan Academy


নেতিবাচক জিনিসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকার জন্য, এই পৃথিবীতে তোমার নিজের ও চারপাশের মানুষের জীবনে সুখ বয়ে আনার জন্য আমি তোমাদের কিছু পরামর্শ দিতে পারি। প্রথমত, প্রতিটি দিন হাসি দিয়ে শুরু করো, জোর করে হলেও হাসতে চেষ্টা করো—একসময় সত্যিই তুমি অনেক ঝামেলার মধ্যেও খুশি থাকতে শিখে যাবে। ‘আমাকে করতে হবে’ এমনটা না বলে বলো, ‘আমি করব’, আগ্রহ আর উদ্যোগকে নিজের অন্তরের ভেতর থেকে আনতে চেষ্টা করো। প্রতিদিন যাদের সঙ্গে দেখা হয়, সবার সঙ্গে হাসিখুশি থাকো, শুধু ঠোঁটে নয়, তোমার চোখ, কান, মুখ, সারা শরীরে যেন সেই হাসির ছোঁয়া লেগে থাকে। নিজেকে ইতিবাচক চিন্তা আর শক্তির আধারে পরিণত করো। বিশ্বাস করো, নদীর ওপারের ঘাস নয়, বরং তুমি যে পারে আছ, সেদিকের ঘাসের রংই বেশি সবুজ। এই বিশ্বাসটুকুই তোমাকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। 

যখন খুব চাপের মধ্যে থাকবে, সমস্যার জালে জড়িয়ে পড়বে, তখন মনে করো, এটা একটা গভীর কৌশলের খেলা। এখানে সেই জিতবে, যে নিজের চিন্তাকে সঠিকভাবে কেন্দ্রীভূত করে যেখানে দরকার, ঠিক সেখানেই মনোযোগ দিতে পারে। সংকটের মুহূর্তে আবেগ কিংবা অহংবোধ যাতে তোমার যুক্তিকে আচ্ছন্ন করে ফেলতে না পারে। যখন দেখবে তোমার কাছের মানুষের সঙ্গে ঝগড়া বেধে গেছে, নিজের আত্মমর্যাদাকে ক্ষণিকের জন্য বিসর্জন দিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কটাকেই বড় করে দেখো। যখন সংঘাত চরমে পৌঁছে, তখন তোমার ভেতরের গর্বিত, আত্মাভিমানী সত্তা তোমাকে যা করতে প্ররোচনা দেয়, ঠিক তার উল্টো কাজটিই করো। যদি পারো, নিজের মনকে একটু সংযত করে, ঝগড়ারত বন্ধুটিকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরো। তাকে বোঝাও, তুমি যে তোমার কাছে কতটা মূল্যবান, কতটা প্রিয়। যখন কোনো বৈষয়িক ব্যাপারে লাভ কিংবা ক্ষতি হয়, মনে রেখো, এসবই ক্ষণস্থায়ী। তোমার সুস্বাস্থ্য কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কের তুলনায় এসব কিছুই নয়। 

যখন কোনো কিছু অসহ্য লাগবে, রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখো। একবার ভাবতে চেষ্টা করো, ওই তারাগুলো কতদূরে, কত অসীম এই মহাকাশ, কতকাল আগে সৃষ্টি হয়েছিল এই মহাবিশ্ব! অসীম শূন্যতার দিকে তাকিয়ে একবার ভেবে দেখো তোমার মতো আরও কত মানুষ, জানা-অজানা কত প্রাণী ঠিক তোমার মতোই বিস্ময় নিয়ে রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে, হয়তো এখনো আছে। কোনো নির্জন স্থানে চলে যাও, নিজের নাম, চিন্তা, ব্যস্ততা, দায়িত্বের বোঝা সব ভুলে গিয়ে নিজের ভেতরের সত্তার দিকে একবার তাকাও। একবার ভেবে দেখো, এই অনন্ত মহাবিশ্বের শূন্যতায় কোথায় তুমি দাঁড়িয়ে আছো, এত যে দুশ্চিন্তা তারই বা মূল্য কতটুকু! 

মনের ভেতর থেকে যখন সুখী হতে পারবে, শান্তি পেতে পারবে, তখন বুঝবে সেটাই প্রকৃত সাফল্য। এসব কখনো অর্থ, বিত্ত, সামাজিক মর্যাদা এমনকি প্রশংসা থেকেও আসে না।  একটা কথা জেনে রেখো, জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নিচ্ছো, তা তোমার ক্যারিয়ারের চেয়েও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি তুমি এমন কাউকে পাও যে তোমার মন খুশিতে ভরিয়ে দিতে পারে, যার সঙ্গে তোমার মূল্যবোধ মিলে যায়, যে তোমাকে সম্মান করে, তোমার বাইরের সবকিছু, সাফল্য, ব্যর্থতা—সবকিছুকে অগ্রাহ্য করে শুধু মানুষটি তুমি বলেই তোমাকে ভালোবাসে; তাহলে পৃথিবীর কোনো কিছু তোমাকে অসুখী করতে পারবে না।

আমি বলব, কখনো কোনো কিছুতে উৎসাহ পেলে, সোজা কাজে লেগে যাও। কাউকে উল্টোপাল্টা কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নিজের মতো কাজ শুরু করো, অন্তত একবার চেষ্টা করে দেখ। অলসতা, অহংকার অথবা ভয়—এসব কিছু যাতে কখনো তোমাকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করা থেকে দমিয়ে রাখতে না পারে। নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলো, কিন্তু সেই সঙ্গে নিজের পছন্দের কাজগুলো করতে ভুলে যেয়ো না। শুধু একটি পদমর্যাদা, বা বিশাল ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিকানাই তোমার সবকিছু নয়। তুমি নৃত্যশিল্পী, তুমি কবি, তুমি আবিষ্কারক, তুমি উদ্ভাবক! নিজের শখের জিনিসগুলোকে জীবনে জায়গা করে দিলে সেগুলো তোমাকে আরও সামনের দিকে নিয়ে যাবে।

২০১২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা, আমাদের তরুণ জাদুকরের দল, ভেবে দেখো, এই দ্বিতীয় জীবন নিয়ে তোমরা কী করবে!

সূত্র: ওয়েবসাইট। 

Popular posts from this blog

মাটির পণ্যের খোঁজে

বাংলা নববর্ষের আগে আগে বাঙালিয়ানা আমেজের ছোঁয়া এখন সব জায়গায়। সব জায়গাতেই চোখে পড়ছে বৈশাখের নানা সামগ্রী। পয়লা বৈশাখের দিনটিতে নিজের বাড়ি সাজিয়ে তুলতে পারেন দেশি উপকরণের ছোঁয়ায়। নানা রকম মাটির সরা, শখের হাঁড়ি, বিভিন্ন আকারের মাটির কলসি, ছোট খেলনা, ফুলদানি, সানকি ইত্যাদি এখন প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যাচ্ছে। মাটির এসব জিনিসপত্রে নকশা আঁকা হয় বর্ণিল রঙে। কোনো হাঁড়িতে ফুল-কল্কে আঁকা, কোনো সরায় মাছ, হাতির ছবি আঁকা—এমন পণ্য ঘরটাকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারে। পয়লা বৈশাখে খাবার পরিবেশন করা যেতে পারে মাটির থালা-বাটিতে। আবার ঘরের কোণে ঠাঁই পেতে পারে মাটির রঙিন কলসি, ফুলদানি ইত্যাদি। এ ছাড়া মাটির গয়না পাওয়া যাচ্ছে এখন। যেখানে পাবেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের উল্টো দিকে রয়েছে মাটির নানা পণ্যের দোকান। সারা বছর এ দোকানগুলোতে কেনাকাটা চললেও বৈশাখের আগে আগে কেনাবেচা বেশি হয়ে থাকে। দোকানগুলোতে মাটির সানকি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। ২৫০ টাকার মধ্যে মাটির পাতিল পাওয়া যাবে। নকশা আঁকা পাতিলের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত গড়াতে পারে। কলসির দাম পড়বে ১৫০ থেকে ৩৫০ ...

বসন্ত উৎসব-২০১৭

বসন্তের সমীরণে ফাল্গুনের প্রথম দিনে পুরো ঢাকা শহর সাজে ফাগুন সাজে। হলুদ, কমলা ও বাসন্তী রঙ্গের ছোঁয়া সবার মধ্যে।  যে যার মতো করে এই দিনে ঘুরতে বের হন। কারও সঙ্গে পরিবার বা বন্ধুবান্ধব।  নগরজুড়েও থাকে নানা আয়োজন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও বসন্তেকে বরণ করা হবে নানা আয়োজনে। বসন্ত উৎসব জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদ দুই দশক ধরে পয়লা ফাল্গুনে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে আসছে।  বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ফুল ও ছবির প্রদর্শনী, পোশাক, সাজসজ্জা ও দেশজ সংস্কৃতির পরিবেশনার মাধ্যমে বসন্তকে স্বাগত জানানো হয়। ভোরের আলো ফুটতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মূখরিত হতে লাগল হাজার প্রাণের স্পন্দনে।  সূর্যি মামার দেখা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দলে দলে মানুষজন জড়ো হতে লাগল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকল অনুষদের বকুলতলায়। সবাই যে একসঙ্গে বসন্তকে বরণ করবে। বাসন্তী রঙ্গের শাড়িতে মেয়েরা আর ছেলেরা পাঞ্জাবিতে।  দেখলেই মন ভালো যায় এমন দৃশ্য। 

স্বচ্ছ জলে সবুজ বনে

ভরা বর্ষায় কোথায় যাওয়া যায়—শুনেই সিলেটের বন্ধু, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেরে আলম আমন্ত্রণ জানালেন সিলেটে যাওয়ার। জানালেন আবহাওয়াও চমৎকার। ২৮ জুলাই রাতে সিলেটের বাসে উঠলাম স্ত্রী আইরিন আসাদকে নিয়ে। সকালে গিয়ে পৌঁছালাম। থাকার ঠিকানা সিলেট সার্কিট হাউসে। জানালা দিয়ে সুরমা নদীতে চোখ রাখতেই দেখি ঝিরঝিরি বৃষ্টি। মনটা কিছুটা দমে গেলেও আশা ছাড়লাম না। কিছুক্ষণ পরে বৃষ্টি থেমে গেলে মেঘলা আকাশ সঙ্গে নিয়েই যাত্রা শুরু করলাম বিছনাকান্দি আর পাংতুমাই ঝরনার দিকে। সঙ্গী হলেন আরাফাত হোসেন। সিলেট শহর থেকে অটোরিকশায় বিছনাকান্দি যাওয়ার রাস্তাটা এতটাই খারাপ যে কিছুক্ষণ পরপর বিরক্তি লাগছিল। দেড় ঘণ্টার পথ পেরোনোর পরে ট্রলার ভাড়া করার সময় দেখলাম, মাথার ওপর সূর্য! আকাশও বেশ ঝকঝকে। পিয়াইন এলাকা থেকে নৌকা যাত্রা শুরু করল পাংতুমাই ঝরনার দিকে। ভরা বর্ষায় চারদিকে থইথই পানি। পাংতুমাই যাওয়ার পথে পথে রাখাল আর গরু-মহিষের পাল দেখা যায়। কোথাও কোথাও রাজহাঁসের পালও। ক্রমেই পাহাড়ের দিকে এগোতে থাকল নৌকা। দূর থেকে দেখতে কালো পাহাড় আস্তে আস্তে সবুজ হতে থাকল। ঘণ্টা খানেকের পথ শেষে দূর থেকে দেখা যেতে থাকল প...

মিষ্টি কুমড়োর যত উপকারিতা

সুগারের পেশেন্ট? এই খেতে ভয়, ওই খাবারে বারণ? চোখ বুজে মিষ্টি কুমড়ো খান। হার্টের রোগ থেকে ডায়াবেটিস, মিষ্টি কুমড়ো কাজ করে ম্যাজিকের মতো। হজমের শক্তি বাড়ায়। ত্বক রাখে টানটান। কমিয়ে দেয় বয়স। মিষ্টি কুমড়োয় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A, ভিটামিন C, ভিটামিন E, বি-কমপ্লেক্স। বিটাক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, আলফা হাইড্রক্সাইড, আয়রন, ফ্লেভনয়েড, লিউটিন সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়ো।  ১. ভিটামিন A, বিটাক্যারোটিন চোখের জন্য খুব ভাল।  রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করে মিষ্টি কুমড়ো। ২. বিটাক্যারোটিন শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডন্ট। শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে।  বিভিন্ন দূষণ, স্ট্রেস ও খাবারে যেসব কেমিক্যাল ও ক্ষতিকর উপাদান থাকে, সেগুলোর কারণে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ হতে শুরু করে। শরীরের কোষ নষ্ট হতে শুরু করে। খারাপ কোষের সংখ্যা বাড়তে থাকে।  এসব প্রতিরোধ করে মিষ্টি কুমড়ো। ৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করে। কোলেস্টেরল কমায়। ধমনীর দেওয়ালে চর্বির স্তর জমতে বাধা দেয়।  ফলে, মিষ্টি কুমড়ো নিয়মিত খেলে হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে। ৪. মিষ্...

বেল নাকি তরমুজ? কোনটি খাবেন?

এ সময় তেষ্টা পেলেই পান করছেন বেল না তরমুজের রস।  দুটো ফলই সুস্বাদু।  দেখে নিন কোনটার কী গুণাগুণ। বেল উপকারিতা  ঃ * বেলের শরবত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। * ক্লান্তি দূর করে। * পাইলস রোগের জন্য বেল অনেক উপকারী। * বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে। * নিয়মিত বেল খেলে কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। * বেলে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অঙ্গগুলোর পুষ্টি জোগায়। * বেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। * বেলের শাঁস পিচ্ছিল ধরনের, যা পাকস্থলীর জন্য উপকার। * বেল থেকে পাওয়া বেটা ক্যারোটিন রঞ্জক মানবদেহের টিউমার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। অপকারিতা  ঃ  যাদের থাইরয়েড রয়েছে, তাদের বেল খাওয়া উচিত নয়, এতে ক্ষতি হয়। চিকিৎসকেরা অন্তঃস্বত্বাদেরও অনেক সময় বেল খেতে নিষেধ করেন। খাদ্য উপাদান পানি ৫৪.৯৬-৬১.৫ গ্রাম আমিষ ১.৮-২.৬২ গ্রাম ক্যারোটিন ৫৫ মিলিগ্রাম থায়ামিন ০.১৩ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেবিন ১.১৯ মিলিগ্রাম নিয়াসিন ১.১ মিলিগ্রাম টারটারিক অ্যাসিড ২.১১ মিলিগ্রাম ফসফরাস ৫০ ...